সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সব দেশেই শিক্ষার্থীরা এ ধরনের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বলেন, সড়কপথে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও শৃঙ্খলা নিশ্চিত হয়নি।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। বলেন, সরকারি বাসে হাফ ভাড়া বহাল থাকলেও বেসরকারিতে হাফ ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষার্থীদের হাফপাসের দাবিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
একমাত্র সরকারি সড়ক পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসেও শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সরকারি বাসে হাফ ভাড়া নেওয়া হয় না। এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশ আমাদের কাছে আসেনি। সরকার নির্দেশ দিলে আমরা বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেব।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ার পর গত ৭ নভেম্বর থেকে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি হাফ ভাড়া নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তা আন্দোলন-কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।
রাজধানীর ১২৮টি রুটে বাস-মিনিবাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে। প্রথা চালু থাকলেও বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ৯টি দাবির মধ্যে হাফ ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি ছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
বাস মালিকদের একাধিক নেতা জানান, বেসরকারি বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া চালু হলে অনেকে ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে বাসে যাতায়াত করবেন, এতে বাস মালিকদের লোকসান হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ফলে বেসরকারি বাসে হাফ ভাড়া চালু করা উচিত হবে না। আবার সরকার এ জন্য বেসরকারি বাসে কোনো ভর্তুকিও দেবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন