পাটুরিয়া ঘাটে বুধবার উল্টে যাওয়া ফেরি কবে উদ্ধার হবে জানে না কর্তৃপক্ষ। আমানত শাহ ফেরিটি বুধবার ১৫টি যানবাহন ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে উল্টে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিট, নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটি এর উদ্বারকারী জাহাজ যৌথ অভিযান শুরুর পর বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ স্থগিত করে। ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আবার উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আংশিক ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে মাত্র একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আর ভাটিতে থাকা চার কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি যানবাহন উদ্ধার করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন চালক ও মালিকরা।
ডুবে যাওয়া ট্রাকের মালিক শোয়েব বলেন, প্রায় দেড় দিন অতিবাহিত হলেও, আমার ট্রাকটি উদ্ধার করতে পারেনি। দ্রুত উদ্ধার না করতে পারলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে যানবাহনসহ উল্টে যাওয়া রো-রো ফেরি ‘আমানত শাহ’কে উদ্ধারের সক্ষমতা নেই উদ্বারকারী জাহাজ হামজার। এদিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ১৪১ মিটার নদী পথ পেরিয়ে চাঁদপুর থেকে বুধবার রওনা দিলেও কখন পাটুরিয়া পৌঁছবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত টিম কাজ শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে এর বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিউটিএ) নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাজাহান বলেন, চাঁদপুর থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়া ফেরিঘাটের পথে রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত রো-রো ফেরি আমানত শাহর যে ওজন, তাতে দুটি জাহাজ দিয়ে চেষ্টা করেও সফল হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রত্যয় পাটুরিয়ার ঘটনাস্থলে আসার পর দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিটি উদ্ধার করার কাজ শুরু করা যাবে।
ফায়ার সার্ভিস মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী উপ পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের তিনটি ইউনিট অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। ট্রাকগুলি উদ্ধারের আগে ফেরি উদ্ধার শুরু করা সম্ভব না। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দু দিনে মাত্র ৫টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা গেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন