ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের নলকা সেতুর কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ায় এবং সেখানে শুধুমাত্র একপাশ দিয়ে যান চলাচল করার পাশাপাশি মহাসড়ক ভেঙ্গে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হওয়ার তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে জেলার সর্বমোট ৫০ কিলোমিটার এরও বেশি মহাসড়কজুড়ে গাড়ির জট রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো যাত্রী ও অন্তত ২০ হাজারের বেশি ছোট বড় যানবাহন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে যানজট এক দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হতে নলকা সেতু হয়ে মহাসড়কের চান্দাইকোনা পেরিয়ে বগুড়ার দিকে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের কাছিকাটা ১০নং সেতু পার হয়ে নাটোরের দিকে এবং ঢাকা-পাবনা মহাসড়কেও এই যানজট ছড়িয়ে গেছে।
সেতু ভেঙে মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজট
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে গোলচত্বর এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যানজট একদিকে টাঙ্গাইল ও অন্যদিকে নাটোর ও বগুড়া জেলার মধ্যে পৌঁছে গেছে। তবে যানজট নিরসনে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে, বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টা থেকে এখনো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে হাজারো যানবাহন।
পেশাগত কাজে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে রাত ২টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের মুলিবাড়ি এলাকায় আটকে পড়েছেন প্রকৌশলী মোস্তাকিম। তিনি জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে এখানে বাস দাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত একটুও আগাতে পারেনি। তিনি বলেন, ঈদের মহাসড়কেও এমন যানজট ও দুর্ভোগ কখনো দেখিনি। যাত্রীরা সবাই ভীষণ ভোগান্তিতে আছেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকা পড়ে যাত্রীদের ক্ষুধা নিবারণে একমাত্র ভরসা এখন মহাসড়কের অস্থায়ী ফেরিওয়ালারা। কিন্তু এই যানজটের ভোগান্তি থেকে আপাতত রক্ষা পাওয়ারও কোনও আশা দেখছেন না তারা।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নলকা সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় সেতুর এক পাশ দিয়ে যান চলাচল করাতে হচ্ছে। এতে এক দিকের গাড়ি বন্ধ রেখে আরেক দিকের গাড়ি চলাতে হচ্ছে। সেতুটি চরমভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটাও চলাচল করাতে হচ্ছে খুব সাবধানে ও ধীরে। সেতুর আশেপাশের মহাসড়ক ভেঙে ভেঙে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যার ফলে গাড়ি চাইলেও জোরে চলতে পারে না। মূলত এ কারনেই যানজট বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) নলকা সেতুটি ভেঙে গেলে সেদিন রাত থেকে যানজট শুরু হলেও গতকাল রাতে তা তীব্র আকার ধারণ করে।
সারাবাংলা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন