কল্পরাজ্য ‘চাঁদে’ জমি কিনে তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্রেতাসঙ্গী হলেন সাতক্ষীরার দুই তরুণ শিক্ষার্থী। এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন তারা।
যে চাঁদ নিয়ে মানবজাতির এত কল্পনা, এত গবেষণা এবং যেখানে পৃথিবীর প্রথম মানব হিসেবে পা পড়েছে অ্যাপোলো-১১ এর নীল আর্মস্ট্রং, আলবার্ট অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্সের- সেই চাঁদে এক ইঞ্চি জমি কিনতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করেন তারা। এই চাঁদেই জমি কিনেছেন ভারতের বড় বড় শিল্পপতি ও বলিউড তারকারা।
বুধবার ক্রয় করা জমির কাগজপত্র, পর্চা এবং জমির নিশানা সংবলিত দলিল হাতে পেয়েছেন এই দুই শিক্ষার্থী। তাদের দাবি বাংলাদেশে তারাই প্রথম দুই শিক্ষার্থী যারা চাঁদে জমি কিনবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
এই দুই তরুণ শিক্ষার্থী হলেন এসএম শাহীন আলম ও শেখ শাকিল হোসেন।
শাহীন আলমের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের সুন্দরবন লাগোয়া গ্রাম পাতাখালিতে। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স নিয়ে লেখাপড়া করছেন।
জমির অপর ক্রেতা শেখ শাকিল আহমেদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করছেন। ক্রয়কৃত ১ একর জমির যৌথ মালিক তারা।
তারা জানালেন, মাত্র ৫৫ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দুই বন্ধু চাঁদে ১ একর জমি কিনেছেন। সেখানে জমির মূল্য প্রতি একর ২৪.৯৯ ডলার থেকে ৪৯৯ ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাবে তা দাঁড়ায় ২১২৫ টাকা থেকে ৪২৪৩৭ টাকা। ‘লুনার অ্যাম্বাসি (চান্দ্র দূতাবাস)’ এর মালিক ডেনিস হোপের কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করেন তারা।
কিছুদিন আগে জমি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে দুই বন্ধু সেখানে চিঠি লিখেছিলেন এবং ডলার জমা দিয়েছিলেন। এর জবাবে বুধবার চাঁদের গ্রামীণ এলাকার ১ একরের একখণ্ড জমির মালিকানা সংবলিত কাগজপত্র তারা হাতে পেয়েছেন। একই সঙ্গে রয়েছে জমির অন্যান্য ডকুমেন্টও।
আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দুই বন্ধু এসএম শাহীন আলম ও শেখ শাকিল হোসেন জানান, আমরাই সম্ভবত প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, যারা চাঁদে জমি কিনেছি। আমরা ভাগ্যবান এ কারণে, সেখানে তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগ্যানের মতো নেতাদের জমি রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বড় বড় ধনী, শিল্পপতি এবং বলিউড তারকারাও চাঁদের জমির মালিক হয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে থাকা এই দুই যুবক জমি কিনে নিজেদের ‘আকাশের চাঁদ’ হাতে পাওয়ার কথাই ভাবছেন। এখন তাদের অপেক্ষা আগামীতে কবে-কখন, কীভাবে চাঁদে গিয়ে বাড়ি করতে পারবেন তা নিয়ে। এসএম শাহীন আলম বলেন, জমি কিনতে পারা একটি বিজয় বলে মনে করছি। শেখ শাকিল হোসেন বলেন, কল্পনার চাঁদের মাটি এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা উচ্ছ্বসিত।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন