নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্ত করা হবে। বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে নিহত ও তাদের স্বজনদের প্রয়োজনীয় ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা শেষে আজ প্রথম দফায় ২৪টি লাশের পরিচয় শনাক্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাই সকাল থেকেই নিহত স্বজনরা লাশ নেয়ার জন্য ঢামেক মর্গে উপস্থিত হতে শুরু করেন। তারা সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আসার অপেক্ষা আছেন। বেলা সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে ঢামেক মর্গের মরচুয়ারি সহকারী সেকান্দার মিয়া জানান, ‘২৪টি লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে শুনেছি। নিহতের স্বজনরাও এসেছেন। কিন্তু ঠিক কখন হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন অসংখ্য শ্রমিক।
৯ জুলাই আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে কারখানা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ৪৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় লাশ শনাক্তের কাজ শুরু করে সিআইডি। ঢামেক মর্গের সামনে অস্থায়ী বুথ খুলে ৪৮ লাশের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাশের অবস্থা খারাপ থাকায় হাড় ও দাঁত সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়। আর লাশের দাবিদার স্বজনদের রক্ত এবং বাক্কাল সোয়াব নেয়া হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন