যশোরের অভয়নগরে বেঙ্গল রেলগেট সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পাশে রয়েছে নওয়াপাড়া পৌরসভার একটি অস্থায়ী ময়লার ভাগাড়। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের আবাসিক এলাকা থেকে সংগ্রহ করা ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় সেখানে। সেই ময়লা-আবর্জনা থেকে আমের আঁটি সংগ্রহ করে সংসার চলছে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সুফিয়া বেগমের।
সুফিয়া বেগমের বয়স এখন ৬১ বছর। স্বামী সিদ্দিক শেখ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের রেলবস্তির একটি ভাড়া বাসায় ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি।
আমের আঁটি সংগ্রহ ও বিক্রির বিষয়ে সুফিয়া বেগম কালের কণ্ঠকে জানান, অভাবের সংসার। তারপর করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ। একমাত্র ছেলে ঘাট শ্রমিকের কাজ করলেও এখন ঘাটের কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘরভাড়া আর সংসার চালাতে অন্য কোন কাজ না পেয়ে তিনি আমের আঁটি সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এক হাজার আঁটি সংগ্রহ করতে পারলে ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। বিভিন্ন নার্সারি মালিকরা আঁটিগুলো ক্রয় করেন। এক হাজার আঁটি সংগ্রহ করতে তার সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা। এক থেকে দুই হাজারের বেশি আঁটি সংগ্রহ করতে পারেন না তিনি।
এক পর্যায়ে সুফিয়া বেগম তাঁর হাত-পায়ের ক্ষত দেখিয়ে জানান, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে চলাচল করায় হাত ও পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতে হয় তাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের জন্য কত সহযোগিতা করেন, কিন্তু তিনি কোন সগযোগিতা পাননি বলে দাবি করে কেঁদে ফেলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা গরিব, আমাদের দেখার কেউ নেই'। এমন কথা বলে তিনি আঁটি ভর্তি ঝুড়ি মাথায় নিয়ে অন্যত্র চলে যান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন