ওনি আওয়ামী প্রধান বিচারপতি। রাষ্ট্রীয় এই চেয়ারে বসার আগে শপথ নিয়েছিলেন দেশের মানুষের জন্য ন্যায় বিচার করবেন। অথচ আওয়ামী প্রধান বিচারপতি হিসাবে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে বললেন।
দেখে নিতে পারেন তিনি কি বলেছেন আওয়ামী প্রধান বিচারপতি হিসাবে—আমারদেশ
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দেশের ইমেজ সবার আগে। লেখেন, কিন্তু এ রকমভাবে কিছু করবেন না, যা একজন শিক্ষিত মানুষের জন্য শোভা পায় না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় এক আসামির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানিতে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে এসব কথা বলা হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে কটাক্ষ ও নেতিবাচক বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট ও শেয়ার করার অভিযোগে গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সিলেট থানায় গত বছরের মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা হয়। এ মামলায় গত বছরের অক্টোবরে হাইকোর্ট রুল দিয়ে সারোয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ অক্টোবর চেম্বার আদালতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে সারোয়ারের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এক বছর ধরে কারাগারে আছেন সারোয়ার। এই মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। তাঁর হৃদযন্ত্রে চারটি স্টেন্ট পরানো আছে, স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন চাওয়া হয়েছে।
আদালত বলেন, এত স্টেন্ট থাকার পরেও আপনি এসব করেন? তখন আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৪ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন। প্রায় এক বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্র হয়নি এখনো। হাইকোর্ট মূলত মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতে এগুলো করলে আর ছুটবেন (জামিন) না, যতই কথা বলুক। এসব বাড়াবাড়ি করে দেশের ইমেজ যদি নষ্ট করেন, দেশের ইমেজ হলো সবার আগে। আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৮ অক্টোবর চেম্বার আদালত থেকে স্থগিতাদেশ (জামিন স্থগিত) দেওয়া হয়। তারপর পাঁচ মাস হয়ে গেছে।
আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি সতর্ক করবেন। আবার যদি আসে তারপরে আর বেল (জামিন) হবে না। দেশের ইমেজ আপনারা নষ্ট করে দেবেন। আমেরিকায় তো মানুষ ‘স্যাটায়ার’ করে। কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। যেসব ভাষা লেখে একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে? তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, শব্দ চয়নগুলো খুবই কুৎসিত। প্রধান বিচারপতি বলেন, এক দিন একজনেরটি পড়েছি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এগুলো পড়া যায় না। শব্দ চয়ন এমন সবার সামনে বলাও মুশকিল হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আপনি লেখেন, কিন্তু এ রকমভাবে কিছু করবেন না, যেটি একজন শিক্ষিত মানুষের জন্য শোভা পায় না। শুনানি নিয়ে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
আদেশের পর আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিলেটে র্যাবের করা ওই মামলায় সারোয়ারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে সারোয়ারের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।
প্রথমআলো
newagebd.net.....
.........................................................................
CJ says country’s image to be given priority in DSA case
..........................................................................
Regarding the detention of the accused in cases relating to the Digital Security Act, chief justice Syed Mahmud Hossain said on Sunday that the court would give priority to the country’s image first.
The chief justice said that the court would not tolerate any excess if the country’s image is tarnished.
The chief justice made this remark while leading an Appellate Division bench that upheld the High Court bail order granted to Md Golam Sarwar, an accused in a case filed with the Shahporan police station in Sylhet on March 15, 2020, under DSA.
On October 11, 2020, the High Court bench of Justice Muhammad Abdul Hafiz and Justice Muhammad Mahbub Ul Islam granted bail to 61-year old Sarwar, resident of Sylhet, for one year, on the consideration that he was suffering from cardiovascular disease and received four stents in 2014.
On October 18, 2020, the Appellate Division’s chamber judge Md Nuruzzaman stayed Sarwar’s bail for eight weeks after hearing an appeal from the government.
During the hearing in the regular bench of the Appellate Division, deputy attorney general Bishojit Debnath prayed for upholding the stay on Sarwar’s bail.
Bishojit told the court that he would not utter the remarks Sarwar shared on his Facebook wall against the country’s founding president Sheikh Mujibur Rahman.
দেশের ইমেজ নষ্ট করলে জামিন বিবেচনা করব না
-------- প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দেশের ইমেজ সবার আগে। কারও লেখায় দেশের ইমেজ নষ্ট করলে আর জামিন বিবেচনা করব না। তিনি বলেন, ‘লিখুন, কিন্তু এ রকমভাবে কিছু করবেন না, যা একজন শিক্ষিত মানুষের জন্য শোভা পায় না।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় এক আসামির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানিতে গতকাল প্রধান বিচারপতি এসব মন্তব্য করেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে কটাক্ষ ও নেতিবাচক বিভিন্ন পোস্ট এবং ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট ও শেয়ার করার অভিযোগে গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি হয় সিলেট থানায় গত বছর মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এ মামলায় গত বছর অক্টোবরে হাই কোর্ট রুল দিয়ে সারোয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আসে। আদালতে আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ শুনানি করেন। শুনানিতে সারোয়ারের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এক বছর ধরে কারাগারে আছেন সারোয়ার। এই মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। তার হৃদযন্ত্রে চারটি স্টেন্ট পরানো আছে, স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন চাওয়া হয়েছে। আদালত বলে, এত স্টেন্ট থাকার পরও আপনি এসব করেন? তখন আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৪ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন। প্রায় এক বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্র হয়নি এখনো। হাই কোর্ট মূলত মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতে এগুলো করলে আর ছুটবেন (জামিন) না, যতই কথা বলুক। এসব বাড়াবাড়ি করে দেশের ইমেজ যদি নষ্ট করেন, দেশের ইমেজ হলো সবার আগে। আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৮ অক্টোবর চেম্বার আদালত থেকে স্থগিতাদেশ (জামিন স্থগিত) দেওয়া হয়। তারপর পাঁচ মাস হয়ে গেছে। আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি সতর্ক করবেন। আবার যদি আসে তারপর আর বেল (জামিন) হবে না। দেশের ইমেজ আপনারা নষ্ট করে দেবেন। আমেরিকায় তো মানুষ ‘স্যাটায়ার’ করে। কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। যেসব ভাষা লেখে, একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে! তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?’’
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘শব্দ চয়নগুলো খুবই কুৎসিত।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এক দিন একজনেরটি পড়েছি।’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এগুলো পড়া যায় না। শব্দ চয়ন এমন যে সবার সামনে বলাও মুশকিল হয়।’ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘লিখুন, কিন্তু এ রকমভাবে কিছু করবেন না, যেটি একজন শিক্ষিত মানুষের জন্য শোভা পায় না।’ শুনানি নিয়ে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
আদেশের পর আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিলেটে র্যাবের করা ওই মামলায় সারোয়ারকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। ফলে সারোয়ারের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন