আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, আমরা সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই। বুধবার (৩ মার্চ) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ কথা বলেন।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়ে চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে, এই কমিশন কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের যোগ্য নয়। এই সরকার অনির্বাচিত একটি সরকার এবং সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই কমিশনের প্রধান কাজ।
বিএনপির এই ঘোষণার মধ্যে দেশের ইউপিগুলোতে ভোট শুরুর লক্ষ্যে প্রথম দফায় ৩৭১টি ইউপি নির্বাচনের তফসিল বুধবার (৩ মার্চ) ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সামনে আনা হলে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করার একটা প্রিন্সিপাল আছে আমাদের। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যারা থাকেন; সবাইকে নিয়োগ করে থাকি। প্রয়োজনে বিজিবি নিয়োগ করে থাকি।
বিএনপি না আসলে নির্বাচন এক তরফা হয়ে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়টি বলছেন, নির্বাচন হবে আমাদের একবারেই ফ্রি। ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সময় এখনো আছে। এখনই আমরা কিছু বলতে চাই না। আমরা যেটা বলতে চাই, আমারা সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই।
আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ৩৭১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে ৩০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন