সমাজের নানা অসঙ্গতি অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরা হয় কার্টুনের মাধ্যমে। কখনো স্বল্পবাক্যে, কখনো বাক্যবিহীন ব্যঙ্গচিত্র দর্শক-পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। অঙ্কিত চিত্রের পাশাপাশি শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে তামাশা, উপহাস কিংবা সরস উক্তি প্রদর্শন করা হয়।
উনবিংশ শতাব্দী থেকে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম বিশেষ করে পত্রিকাগুলো ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে আসছে। যা পাঠকের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
কিন্তু এ দিয়ে নানা সময়ে বির্তক হওয়ায় দিনদিন সংকুচিত হচ্ছে ব্যঙ্গচিত্রের ব্যবহার। গণমাধ্যমে দুজন কার্টুন আঁকিয়ে জানান, নানা চাপের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যঙ্গচিত্র থেকে সরে আসছে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খড়গও অন্যতম কারণ হিসেবে বলছেন তারা।
সিনিয়র সাংবাদিকরা মনে করেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম সূচক। একারণে কার্টুনিস্ট বা কলাম লেখকদের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন হওয়া জরুরি।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রয়োজনে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করা সম্ভব। তবে কোনো কোনো কার্টুনিস্ট মনে করে আইন ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র না করাই ভালো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন