নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গোলাগুলিতে নিহত বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার পরিবারের দাবি মুজাক্কিরের মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। পরে সেগুলো বিভিন্নভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে মুজাক্কিরের ভাই ফখরুদ্দিন মুফাচ্ছির দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমার ভাইয়ের ক্যামেরা আর মোবাইল তার লাশের সঙ্গে ছিল না। ক্যামেরা একটি দোকানে পাওয়া গেছে বলে আমরা জেনেছি। আর আমরা যখন গুলিবিদ্ধ মুজাক্কিরকে নিয়ে ঢাকায় যাই, তখন এক শিশু আমাদের বাড়িতে তার মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে যায়। সেই শিশুকে আমরা কেউ চিনি না।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্তের স্বার্থে পিবিআই নিহত মুজাক্কিরের ক্যামেরা ও মোবাইল নিয়ে গেছে বলে জানান তার ভাই ফখরুদ্দিন মুফাচ্ছির।
তিনি তার ভাইকে হত্যায় জড়িতদের বিচার চেয়ে বলেন, বাজারের সিসি ক্যামেরা ছাড়াও অনেক মোবাইলে ওই ঘটনা ধারণ করা হয়েছে৷ পুলিশ চাইলেই অপরাধীদের এখন ওই ফুটেজ ধরে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে পারে।
শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষে মুজাক্কির নিহত হন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন