শিবপুরে এক নার্সকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আশুতিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, শিবপুরের মজলিশপুর এলাকার তারা ভূইয়ার ছেলে হারুন ভূইয়া (২০), একই এলাকার মতিন কমান্ডারের ছেলে মনির ভূইয়া (২০) সহ অজ্ঞানামা দুজন।
ভোক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার বাদীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে নরসিংদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করে ও ছোট মেয়ে বাড়িতে থাকে। গত আট মাস আগে বড় মেয়ের বিয়ে হয়। চাকরির সুবাদে বড় মেয়ে নরসিংদীতেই থাকে। গত মঙ্গলবার সকালে বাদী ও ছোট মেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত হারুন ভূইয়া তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে নার্সকে ফোন করে জানায় তার ছোট বোনকে নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে সে যেন দ্রুত আসে। ওই সময় ছোট বোনের নম্বরে ফোন করলেও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে রাতেই মজলিশপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত পৌনে ১০টায় মজলিশপুর পৌছে। ওই সময় অপর অভিযুক্ত মনির ভূইয়া ছোট বোনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি কলাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্ত হারুন, মনির ও অজ্ঞাতনামা দুজন জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষষ করে। পরে অজ্ঞাত দুজন চলে গেলে অভিযুক্ত হারুন ও মনির ওই নার্সের আত্মীয়কে ফোনে জানায় ওই নার্স অসুস্থ অবস্থায় কলাক্ষেতে পড়ে আছে। খবর পেয়ে তাঁর ওই আত্মীয় ও ছোট বোন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নার্সেও বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত মনির ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, মামলা দায়েরের পর মনির ভূইয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন