সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক, হোস্টেলের মূল গেটের ডে গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ড ৭ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাবেক ছাত্র সাইফুর রহমান হোস্টেল সুপারের বাসভবন জোর করে দখল করে রাখার কারণেই তাঁরা কলেজের হোস্টেল এলাকায় দলবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করার সাহস পায়। ফলে ঘটনার তারিখে হোস্টেল ক্যাম্পাসে ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে।
এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রতিবেদনে ১৫ দফা সুপারিশ করে বলা হয়, কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে হোস্টেলে আসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অছাত্র বা সাবেক ছাত্রদের হোস্টেলে বসবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে গত বছর সিলেটের এম সি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধু দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। হাইকোর্ট ওই ঘটনা অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করেন। চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা ছিলেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে গেলে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ওই দিন রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন