ঢাকার রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ দাখিল করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) এ মামলায় হাইকোর্টের আদেশ দাখিল ও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন মতিউর রহমানের পক্ষে ছয় মাসের জন্য মামলা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের প্রত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফাইড কপি) আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর আদালত ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
মামলাটিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই স্থগিতাদেশ দেন।
মতিউর রহমানের পক্ষ থেকে মামলাটি বাতিল চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া রুলে ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, তাও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকার রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ছিল। সেদিন মাঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্র নাইমুল আবরার। তাকে দ্রুত কাছের কোনো হাসপাতালে না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান গত বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নালিশি মামলা করেন।
এরপর গত বছরের ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলো সম্পাদক, কিশোর আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। পরে একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলায় প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।
এ মামলার আসামিরা হলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কবির বকুল, শুভাসিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহ পুরান তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হওলাদার। আসামিরা সবাই আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। মামলার অপর আসামি কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন