দিনাজপুরে রামসাগর মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিণের সংসারে আরো আটজন নতুন অতিথি এসেছে।
শীত ও করোনার সময়ে চিত্রা হরিণের সংসারে নতুন আট অতিথিকে দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
নতুন অতিথি শাবকদের নিয়ে রোদের আলোয় মা হরিণগুলো দুধ খাওয়াচ্ছে। এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে। বাদাম বা খাওয়ার কিছু নিয়ে ডাকলে অনেক চিত্রা হরিণ ব্যারিকেডের কাছে ছুটে আসছে। তবে কেউ শব্দ করলে তারা পালিয়েও যাচ্ছে।
মহিলা দর্শনার্থী দিনাজপুরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ফ্যামলি প্ল্যানিং মমতাজ বেগম বলেন, ঐতিহাসিক এই রামসাগরের জলরাশি ও চিত্রাহরিণগুলো এখানে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। যারা রামসাগরে আসেন তারা একবার হলেও হরিণগুলোর কাছে ছুটে আসেন। চিত্র হরিণের পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে শুনে আমিও আমার পরিবার ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে এসেছি হরিণ ও শাবকগুলো দেখানোর জন্য।
দ্বিতীয় শ্রেণীল শিক্ষার্থী স্নেহা বলে, ‘রামসাগরে ঘুরতে এসেছি। আজকে হরিণ দেখছি। হরিণগুলো অনেক সুন্দর, আমার কাছে আসছে এবং খুব ভাল লাগছে’।
হরিণগুলোর তদারককারী জহুরুল ইসলাম জানায়, চিত্রা হরিণের শাপলা পাতা, বিভিন্ন গাছের পাতা, ঘাস, বাদাম ছোলাসহ দানাদার খাবার খুব প্রিয় খাবার । নতুন অতিথি আসায় দর্শনার্থীরা খুব মুগ্ধ। তারা হরিণ শাবকগুলো দেখার জন্য ভিড় জমায়।
দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক ও বনবীট কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, ১৯৯২ সালে ১২ আগষ্ট রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ছয়টি চিত্রা হরিণ আনা হয়। বংশবিস্তারে সংখ্যা বেড়ে বড় ৫৪টি হরিণ এবং ডিসেম্বর ও চলতি জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন সময়ে আটটি মা হরিণ নতুন অতিথির জন্ম দেয়ায় এখন হরিণের সংখ্যা ৬২টিতে দাঁড়িয়েছে সংখ্যা।
তিনি আরও জানান, হরিণের সংখ্যা বেড়েছে। এতে খাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে। এখন চিত্রা হরিণগুলোর খাদ্যের জন্য সঠিক সময়ে খাদ্য বাজেট পর্যাপ্ত পাওয়া দরকার। চিত্রা হরিণগুলোকে ছোলা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেয়া হয়।
রামসাগর চিড়িয়া খানায় চিত্রা হরিণ ছাড়াও রয়েছে বানর, হুনুমান, ময়ুর, অজগর সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির পেঁচা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন