নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে কোনো দ্বৈরথে যেতে চান না নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালোবাসি শেখ হাসিনাকে। তার উন্নয়ন যদি ধরে রাখতে হয়, গুতাগুতি আর না। মির্জা সাহেব এমন কোনো ব্যক্তিত্ব না যে ওনার সঙ্গে ফাইট করতে হবে।’
ফেসবুক লাইভে এসে ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সন্তান বলার কয়েক ঘণ্টা পর আবার লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।বিরোধ মেটাতে মধ্যস্ততাও কামনা করছেন একরামুল। বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যদি কোনো গ্যাপ থাকে আমাদের নেতারা ডেকে মিনিমাইজ করে দেবেন।’
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং ওবায়েদুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীসহ নিজ দলের একাধিক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছিলেন।
শুরুর দিকে কারও নাম না বললেও ১৬ জানুয়ারি ভোট শেষে তিনি স্পষ্টতই বলেন, নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
একরামুল এতদিন মুখ খোলেননি। তবে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি ২৭ সেকেন্ড কথা বলেন। তবে পরে আবার সে ভিডিও ডিলিটও করে দেন। যদিও তা এর আগেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এই ভিডিও ক্লিপে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ, আসসালামু আলাইকুম। আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরকে নিয়ে কথা বলবো না। আমি কথা বলবো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এ পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলবো। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করবো।’
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নোয়াখালী আওয়ামী লীগে আবার তোলপাড়। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভে নামেন কাদের মির্জা। দাবি তুলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে একরামুল করিমকে বহিষ্কার করতে হবে। এই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন কাদের মির্জা।
এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ফেসবুক লাইভে এলেন একরামুল। এবার তিনি কথা বলেন দুই মিনিট।
তিনি বলেন, ‘আমি কালকের রাতে একটা স্ট্যাটস দিয়েছিলাম। তবে আমি সেটা মির্জা কাদেরকে বুঝিয়েছি। ওবায়দুল কাদের ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আর মির্জা কাদেরের ফ্যামিলিটা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী ফ্যামেলি।’
তিনি বলেন, ‘সব নেতাকর্মীকে বলব মির্জা সাহেব আমার বিরুদ্ধে যা করেছেন আমার গালে গালে উনি জুতা মেরেছেন.. এর প্রতিবাদে আপনারা যেভাবে রাস্তাঘাটে জেগে উঠেছিলেন…. আজকে আমি আপনাকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছি… যদি ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসেন আপনারা কেউ প্রতিবাদ সভা করবেন না, গণজমায়েত করবেন না।’
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন