স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে বাদল ওরফে ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে (৬৩) অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান চৌধুরী সম্প্রতি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
এ মামলায় শিবলু নামে আরেক আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা উদঘাটনসহ গ্রেফতার করতে না পারায় তার অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরবর্তীতে নাম-ঠিকানা পেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া বামনের টেক ৪২ নম্বর হাজি কমপ্লেক্স ভবন থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে বিদশি পিস্তল, ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার জালনোট, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পর দিন ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানায় র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে। দু’টি মামলায় তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, অষ্টম শ্রেণি পাস আব্দুল মালেক অধিদফতরের চাকরির পাশাপাশি নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাতেন। অবৈধ অস্ত্র ও জালনোটের কারবার ছাড়াও চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
তুরাগ থানা এলাকার দক্ষিণ কামাড়পাড়ায় দু’টি সাততলা বিলাসবহুল ভবন, ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে চার কাঠা জমিতে নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন রয়েছে তার। এছাড়া দক্ষিণ কামাড়পাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলেছেন তিনি। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনাম বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে তার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন