লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা থেকে বের হওয়ার এক ঘণ্টা পর শ্রমিক কাশেম আলীকে (২৮) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে মাফলার পেঁচিয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। কাশেমের গলায় মাফলার পেঁচানো থাকলেও হাঁটু ভাঙা অবস্থায় মাটিতে লেগে ছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাশেম ইটভাটা থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হন। সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আন্ধারমানিক গ্রামে স্থানীয়রা গাছের সঙ্গে ঝুলানো লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, কাশেম আন্ধারমানিক গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী নুরজাহান আক্তার ও আরমান হোসেন নামে দেড় বছরের এক পালক ছেলে রয়েছে। তিনি স্থানীয় জসিম ব্রিকফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতেন।
স্থানীয় চা দোকানি বৃদ্ধ আবদুর রহিম জানান, ঘটনার আগে কাশেম তার দোকানে চা খেয়েছে। চা খেয়ে কাশেম বাড়ির দিকে রওনা দেয়। পরে লোকজনের কাছে কাশেমের মৃত্যুর খবর পান। ঘটনাটি মর্মান্তিক।
কাশেমের জ্যাঠাতো ভাই সবুজ হোসেন বলেন, সোমবার সকালে কাশেম ব্রিকফিল্ড থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হয়েছে। পথে কে বা কারা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কাশেমকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কাশেমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবেদন পেলে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন