পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামানের দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে তাদের ওপর হামলা হয়।
আহতরা হলেন, বজলুর রহমান (৪৫) ও আরিফ হোসেন (৩০)। বজলুর রহমান আড়ানী পৌর এলাকার ৪ নম্বর নুরনগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আহত আরিফ তার ভাগনে। বৃহস্পতিবার রাতেই দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি কাজল
আহতদের অভিযোগ, অভিযোগ, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকেরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন বজলুর রহমান। আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে আরিফকে। হাসপাতালে গিয়ে কথা হলে বজলুর অভিযোগ করে জানান, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহীদুজ্জামানের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের টাকা নিয়ে তিনি এবং তার ভাগনে আরিফ বাড়ি ফিরছিলেন। আরিফ তাকে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে বলায় তারা একসঙ্গে যাচ্ছিলেন। নুরনগর রাস্তার মোড়ের কাছে আসতেই তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর ছেলে রাজুকে দেখেন। তার সঙ্গে মুক্তার আলীর সমর্থক আশিক, সজল, শরীফ ছিলেন। এ ছাড়া মুখ বাঁধা আরও চারজন ছিলেন। মুক্তারের ছেলের হাতে চায়নিজ কুড়াল, আশিকের হাতে ডেগার ছিল। তারা ওখানে কী করছেন, জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশিক তার বগলের নিচ দিয়ে ডেগার ঢুকিয়ে দেয়। তিনি পড়ে যান। পরে মুখ বাঁধা অন্যরা এসে উপর্যুপরি তার পিঠের ওপরে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকেন। তিনি মারা গেছেন ভেবে বালুর মধ্যে তাকে ফেলে চলে যান। এরপর হাসপাতালে এসে জানতে পারেন তার ভাগনের পেটেও আশিক ডেগার চালিয়ে দিয়েছে।
বজলুর রহমানের দাবি করে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার তাকে হত্যা করার জন্য আশিকের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এ ব্যাপারে জানতে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার মোবাইলে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
আরিফের মামাতো বোন আঁখি খাতুন জানান, তার ফুফাতো ভাই সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন আরিফ, ২৪ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, নৌকার প্রার্থীকে ফোন করে তিনি জানতে পেরেছেন হামলার শিকার ও হামলাকারীরা পরস্পরের আত্মীয়। যারা আহত হয়েছেন, তারা নৌকার সমর্থক। আর যারা হামলা করেছেন, তারা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে হামলাকারীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হলেও বাড়িতে তাদের পাওয়া যায়নি।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন