জাপানে অনুষ্ঠিত থার্ড মেহুদো ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ফেস্টিভ্যালে এ পুরস্কার জিতেছেন বগুড়ার জে. মুমু। ডকুড্রামাটির নাম ‘শতবর্ষী আনন্দ’ । জে. মুমু বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মুমু ১৮ ফেব্রুয়ারি জাপান যাচ্ছেন এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। খবর, ইয়াহু নিউজ।

মুমু গতকাল স্টেটওয়াচকে বলেন, লকডাউনের অবরুদ্ধ সময়ে ছবিটি ফোনে ধারণ করেছিলাম। ছবির চরিত্র প্রায় শতবর্ষী এক দরিদ্র নারী। দারিদ্রতার কষাঘাতে জরাজীর্ণ হয়েও তিনি করোনাময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চান। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা ও আনন্দকে ছবিটিতে ধারণ করতে চেয়েছি। ছবিটি বাংলাদেশের জন্য এত বড় সম্মান বয়ে আনবে তা কখনো ভাবিনি।

এজন্য মুমুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে উৎসবে অংশ নেয়া ৭৪টি দেশের ২০০ আলোকচিত্রীর সঙ্গে। ইতিপূর্বে ছবিটি রোমানিয়ার স্যাপিক্সেল ইন্টারন্যাশনাল ফটো কনটেস্ট-২০২০ এবং যুক্তরাজ্যের হান্টিংটন বিচ কালচারাল সিনেমা শোকেস এর ফটোগ্রাফি বিভাগের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে।

মুমু স্টেটওয়াচকে জানান, যুক্তরাজ্যের হান্টিংটন বিচ কালচারাল সিনেমা শোকেস প্রতিযোগিতায় মনোনয়ন পাওয়া একটা বিশাল ব্যাপার। তিনি যদিও নিজের খেয়ালে এ ডকুড্রামা নির্মাণ করেছিলেন কিন্তু এখন ভাবছেন পড়াশোনার ফাঁকে সময় বের করে আরও কিছু কাজ করার চেষ্টা করব।