'আমি বিশ্বাস করি, যে মাটিতে ঘাম পড়ে অথবা এই মাটিতে যদি আপনার রক্ত ঝরে, তাহলে এই মাটির মানুষের সাথে আপনার আত্মীয়তা তৈরি হয়। বিয়ানীবাজারের মাটিতে আমার ঘাম পড়েছে, আবার আমি মারও খেয়েছি। এই কথাটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। আমি এ এলাকায় এসে বুঝেছিলাম, আমার খেলাটা বুঝি বিয়ানীবাজারের সাথে হবে। কিন্তু এখন দেখি নাইজেরিয়ানও আছে সাথে', গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজার পঞ্চকন্ড হর গবিন্ড সারকারি হাইস্কুল মাঠে এ কথাগুলো বলছিলেন সদ্য গঠিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন। সেখানে নিজের নামে গড়া ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন একাডেমি একাদশ বনাম সিলেটের বিয়ানীবাজার একাদশের মাঝে প্রীতি ফুটবলের আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে খেলা দেখতে আসা লাখো মানুষের মাঝে বক্তব্য দেন তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয় ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, চুনারুঘাট থেকে ৪ ঘণ্টার জার্নি করে এসে দুর্বল হয়ে গেছি। স্থানীয় আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্যে সুমন বলেন, সিলেটে থেকে বিয়ানীবাজার পর্যন্ত রাস্তায় এত গর্ত কেন? আমার কোমরে ব্যথা ধরে গেছে। আমি যদি আজ এখানে না আসতাম তাহলে লাইভে গিয়ে ভালো করে ইজ্জত মারতাম। ভাবলাম, আমি বিয়ানীবাজার যাবো আবার তাদের দেওয়া খাবার খাবো। লাইভে গেলে মার খেতে পারি। তাই আগামী বছর খেলায় আসার আগে রাস্তা ভালো দেখতে চাই। আমি সাবেক মাননীয় মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেবকে বলবো, আপনার এলাকা খুব সুন্দর। একটু রাস্তাঘাটের দিকে নজর দিন। রাস্তাঘাট একটু ঠিক করে দিন। আমাদের ছেলে মেয়েদের বিয়ে-শাদি করাইতে গেলে রাস্তাঘাট ঠিক না থাকলে কীভাবে আসবো? বিয়ানীবাজারের সাথে আত্মীয়তা করতে গেলে রাস্তাঘাট ভালো করতে হবে। বিয়ানীবাজেরর মানুষের ভালোবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি।
এ খেলায় ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন একাডেমি একাদশ ১ ও বিয়ানীবাজার একাদশ ১ গোলে ড্র করে।
বিয়ানীবাজারের তরুণদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে লেখাপড়া করতে হবে। আপনারা আমাকে দেখেন। আমি চুনারুঘাটের মতো একটি উপজেলা থেকে উঠে এসে যদি ব্যারিস্টার হতে পারি তাহলে আপনারা পারবেন না কেন? আমার বাবা-মা মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তাদের সন্তান হয়ে আজ আমি দেশ-বিদেশে পরিচিত। আমি বিয়ানীবাজারে এসে ফুটবল খেলার প্রতি মানুষের যে জাগরণ দেখেছি, আমি এই জাগরণ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন