চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভেনম না থাকায় ভুক্তভোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ মুহূর্তে সাপে কাটা রোগী এলে অ্যান্টিভেনম না থাকার কারণে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলায় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে মামুন (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে সাপে কামড় দেয়। এ সময় তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন নেই। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, দেশে বর্ষা মৌসুম এবং বিশেষ করে ধান কাটার মৌসুমে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি ঘটে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন উপজেলায় সাপে কাটা রোগী বাড়ছে এবং ধরা পড়ছে বিষধর সাপও। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আতাহার ও নয়াগোলা এলাকায় বেড়েছে বিষধর সাপের আনাগোনা।
সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চাহিদা পাওয়ার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করে জেলা সদর হাসপাতালে। প্রতি বছর চাহিদার ভিত্তিতে সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করার কথা।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাদিম সরকার বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন মজুদ নেই। সাপে কামড়ানোর পর একজন রোগীকে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় অ্যান্টিভেনম দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসক ঝুঁকি নিতে চায় না। এ কারণে হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এসব রোগীকে পাঠানো হয় রামেক হাসপাতালে। তবে অ্যান্টিভেনমের চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাপের কামড়ে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে হলে উপজেলা পর্যায়েও পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনমের ব্যবস্থা করার বিকল্প নেই। জেলায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় তারা দুষছেন সময়মতো সাপে কাটার ইঞ্জেকশন না পাওয়াকে।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মোমিনুল হক জানান, অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন জেলা হাসপাতালে সরবরাহ করে না কর্তৃপক্ষ। সাধারণত সাপে কাটা রোগীদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়ে থাকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন