রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলন, বাস্তবায়নের মেয়াদ ও ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে তারতম্য নিয়ে এ অসন্তোষ প্রকাশ করে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির ওপর আলোচনা করা হয়।
কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছাকাছি ঘুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্রাক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ জুলাই মাসে। ২০১৬ সালের জুন মাসে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরে এটি সংশোধন করে বাড়ানো হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ টাকা।
কার্যপত্র থেকে আরও জানা যায়, খুলনা হতে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭২১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এই প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। যা শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালের ৩০ জুন। পরে এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ধরা হয়। আর সময় ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, প্রকল্পের যে প্রাক্কলন করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নের সময় ঠিক থাকে না। প্রাক্কলনে যে ব্যয় ধরা হয় দরপত্রে সে ব্যয় কম বা বেশি দেখা যায়।
এদিকে বৈঠকে ঢাকা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন তৈরির পরিকল্পনায় আন্ডার পাসগুলোতে ‘হাই কিউব কন্টেইনার’ পরিবহনের সুবিধা কেন রাখা হয়নি, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে কমিটিতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
কমিটির সভাপতি এ বিষয়ে বলেন, জুরাইন রেলওয়ে ওভারপাসের উচ্চতা কম হয়েছে। ওই ওভার পাসের যে উচ্চতা তাতে হাই-কিউব কন্টেইনারগুলো পরিবহন করা যাবে না। এতে পরিবহন ব্যয় বাড়বে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে ২০০৮ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেললাইন, সিট, সিগনাল ব্যবস্থা এবং প্ল্যাটফর্মসহ রেলওয়েতে যাত্রীসেবার উন্নয়নের একটি সার্বিক প্রতিবেদন কমিটিতে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন