নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় অভিযান চালিয়ে শাহাদাত হোসেন সোহাগ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আব্দুল আউয়াল নামের এক কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুৎসিত ও মিথ্যা বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত শাহাদাত হোসেন সোহাগ বসুরহাট পৌরসভার ৩ নস্বর ওয়ার্ডের মাহমুদ ম্যানশনের মৃত নূর হোসেন শহীদ মাস্টারের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার বামনি কলেজের শিক্ষক ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল আউয়াল আজ সকালে সোহাগের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে আবদুল আউয়াল উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন থেকে অভিযুক্ত সোহাগ তিনি (আউয়াল) তার স্ত্রী ও কন্যাকে জড়িয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন কুৎসিত, মিথ্যা বক্তব্য প্রচার ও জঘন্য কুৎসা ছড়িয়ে আসছিল। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর। সোহাগ ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইজ, নেটওয়ার্ক ব্যবহার ও ছদ্মবেশ ধারণ করে এসব প্রচার করে আসছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া শাহাদাত হোসেন সোহাগের পারিবারের দাবি, সোহাগ ও আবদুল আউয়াল পরস্পরে শালা-ভগ্নিপতি। আবদুল আউয়াল অভিযুক্ত সোহাগের কানাডা প্রবাসী চাচা নুর উদ্দিন মাহমুদের মেয়ে আয়েশা বিনতে লুনাকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আউয়াল এ মামলা করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক জানান, আইসিটি মামলায় শাহাদাত হোসেন সোহাগকে গ্রেপ্তার আজ দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন