ধর্মীয় ইস্যুতে কেউ উসকানি দিচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।
সিআইডি ছাড়াও পুলিশের বিশেষ শাখা, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) নজরদারির কাজ করছে। ধর্মীয় ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়ায়, এমন কিছুর প্রচার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে নিষিদ্ধ।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্মীয় ইস্যুতে কেউ উসকানি দিচ্ছে কি না, সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। সেন্টারের কাজ অপরাধীকে শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তবে কারা কারা নজরদারিতে আছেন বা বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে তা জানাননি তিনি।
তিনি বলেন, যাঁরা ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন, তারা আইন ভঙ্গ করছেন কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তারপর ফেসবুক বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। কখনো কখনো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) সহযোগিতা নিয়ে পোস্ট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
এর আগে ২৭ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এবং সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্য্হারকারীদের ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ধর্মীয় কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মো. সোহেল রানা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু অসৎ মানুষ, অপরাধমনস্ক মানুষ ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে মিথ্যাচার করে, গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। এর বলি হয়েছেন অনেক নিরীহ মানুষ।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন বা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো আপনাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আলেম-ওলামা রয়েছেন। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন না।
সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক শহীদুন্নবীকে পুড়িয়ে হত্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি বাড়ায়। এছাড়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। এখন ভাস্কর্য ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তপ্ত বিতর্ক হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন