অভাব অনটন আর নদী ভাঙ্গনে ভিটা হারা মানুষের বসবাস রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে। ছিন্নমূল এ মানুষের মাথা গোছার ঠায় আগুন পুড়ছে প্রতি বছর।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় চার বছরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বস্তিতে ১ হাজার ৪৬টি অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালে ঢাকার বস্তি পুড়েছে ৩২টি, ২০১৮ সালে ৩৩টি, ২০১৯ সালে ৩১টি এবং ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ১ মাসে রাজধানীতে ছোট-বড় ৫টি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বস্তিবাসীর অভিযোগ, ভ‚মি দখল, আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতার দ্ব›দ্ব ও নাশকতা সৃষ্টিসহ নানা রাজনৈতিক অপকৌশল বাস্তবায়নের জন্য বস্তি দখল করতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়ে থাকে।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, প্রয়োজনে চাইলেই বসবাসকারী মানুষকে হঠাৎ করে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলে সহজতর পথ হলো আগুন লাগিয়ে দেওয়া। এ বিষয়গুলো নিয়ে অতীতেও অনুসন্ধানের নামে তদন্তের কমিটি হয়েছে, কোনো ফল হয়নি।
নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে এর দায়িত্ব সরকারি সংস্থাগুলোকেই নিতে হবে। গৃহায়ন নীতিমালায় বস্তির ব্যাপারেও বলা আছে, তাদের নিরাপত্তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণ দেখিয়ে পুরো বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ দুর্ঘটনা দেখানোটা খুব সহজ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন