সংশ্লিষ্ট এলাকার থানাগুলোতেও বড় কোনো অপরাধে মামলা বা জিডি নেই। তবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি চুরির ঘটনা রয়েছে। গড়ে প্রতিমাসে একেক থানায় ১০ থেকে ১২ টি মামলা ও প্রায় ১শ’ জিডি হচ্ছে। যা দেশের অন্য থানার তুলনায় খুবই কম।
সীমান্ত এলাকা হিসেবে ওই এলাকায় মাদক ও চোরাচালান ব্যাপকহারে করার কথা থাকলেও তা নেই। মহানন্দা নদী থেকে পাথর উত্তোলন নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। গত বছর ২৬ জানয়ারি পাথর উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ বেশকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসব অফরাধের ঘটনা না ঘটায় স্বস্তিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী বলেন, এই এলাকার মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। এই এলাকায় মাদক ব্যবসা নেই বললেই চলে। তালিকাভুক্ত যেসব বিক্রেতা রয়েছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ভাল হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন পালা করে থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর ওইসব মাদক বিক্রেতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, যারা অন্যান্য এলাকা থেকে এখানে বসবাস শুরু করেছে তাদের একটা অংশই মূলত নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে মিশে অপরাধকান্ডে জড়াচ্ছে স্থানীয়রা। পাথর উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নদী থেকে পাথর তোলায় একেক স্থানে বড় গর্ত তৈরি হয়। এতে পরে ওইসব স্থানের ভূমি ধ্বসে পড়তে পারে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে পাথর উত্তোলন বর্তমানে বন্ধ করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন