কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলায় বড়ভাই-ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় কটিয়াদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল দ্বীন ইসলামের স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিযনের জামষাইট কান্দাপাড়া গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর মাটিতে পোঁতা অবস্থায় আসাদ মিয়া (৬০), তার স্ত্রী পারভীন খাতুন (৪০) ও ছেলে লিয়নের (১২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড়িতে না থাকায় আসাদের বড় ছেলে তোফাজ্জল (২৫) ও মেঝো ছেলে মোফাজ্জল (১৩) প্রাণে বেঁচে যায়।
ওসি এমএ জলিল জানান, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত আসাদের ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম, বোন নাজমা, ভাগ্নে আল-আমিন ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দ্বীন ইসলাম ওই তিনজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। অন্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
দ্বীন ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে জানায়, জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তিনি একাই তিনজনকে হত্যা করেছেন। বুধবার রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় শাবল দিয়ে বড় ভাই আসাদকে হত্যা করার পর ভাবি আসমা আক্তার ও ভাতিজা লিওনকে হত্যা করে। পরে ঘরের পাশেই একটি গর্ত খুঁড়ে প্রথমে গর্তে ভাই আসাদ পরে ভাবী এবং ভাতিজাকে রেখে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
ওসি আরো জানান, জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের কারণে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সঙ্গে তার ভাইয়ের জমিজমাসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন