সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকায় রূপসী-পাকুরতলা সড়কে দুই বছর আগে সেতু নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ওই ব্রিজে উঠতে ব্যবহার করতে হয় বাঁশের সাঁকো।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট কংক্রিট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় ওই এলাকার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, বাঐখোলা ও কুঠিরপাড়া এই পাঁচ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠে অতিকষ্টে ব্রিজটি পার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জালালপুর গ্রামের আসাদ আলী, আতিক হাসান, রহম আলী, বাবলু মিয়া, পাকুরতলা গ্রামের দেরাজ মোল্লা, আবদুল হামিদ, দুলাল শেখ, তয়জাল মোল্লা, রবি চান ও আলম শেখ জানান, দুই বছর ধরে আমরা যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাচ্ছি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর দায়সারাভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর দুই বছর ধরে স্থানীয়রা এ ব্রিজের দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারে পয়সা তুলছেন। এতে কষ্ট করে যাতায়াত করা গেলেও অর্থদণ্ড লাগছে।
তারা বলেন, দুই বছর ধরে এ ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ সড়ক দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝা মাথায় করে পার করতে হয়। এতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। তাই তারা অবিলম্বে ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, বন্যার পানি সরে গেলে আবারও মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পয়সা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন