বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির দৃষ্টান্তমূলক সাজা চায় তার পরিবার। করোনায় আদালত বন্ধ থাকাসহ দীর্ঘ ১৬ মাসের বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৪ অক্টোবর আদালত রায়ের জন্য মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ধার্য করেন।
মিন্নিদের মতো এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামিরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান রিফাতের একমাত্র বোন ইসরাত জাহান মৌ।
নিহত রিফাতের একমাত্র ছোট বোন ইসরাত জাহান মৌ বলেন, ‘আমরা ভাইয়াকেতো আর ফিরে পাবো না। তবে মিন্নিদের মতো এই আসামিদেরও দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে কিছুটা সান্ত্বনা পাবো। ভাইয়ার আত্মা শান্তি পাবে। ’
মামলার বাদী আবদুল হালীম দুলাল শরীফ বলেন, ‘অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এটা বারবার প্রমাণ হোক। রাষ্ট্র বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক- অপরাধ করে কেউ বাঁচতে পারবে না। ১৪ আসামির মধ্যে আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা একটি সান্ত্বনা নিয়ে বাঁচতে পারি। ’
রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড যেন আর না হয়। আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। ’
গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন