বরিশালে দুর্গাপূজায় স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো পংকজ বৈদ্য (৩৫) নামের এক যুবক। পংকজের মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করেছেন পরিবার সদস্যরা। সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের নিহতের মরদেহ শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত পংকজ গৌরনদী উপজেলার চন্দ্রহার গ্রামের প্রিয় লাল বৈদ্যর ছেলে। আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে রবি হালদারের মেয়ে জামাই।
নিহতের স্ত্রী মিতু বৈদ্য বলেন, রোববার (২৫ অক্টোবর) ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে পংকজ পানি খেতে চায়। তাকে পানি এনে দিলে ওই পানি পান করার সময় পংকজের গলায় আটকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সুভাষ ভক্তের কাছে নিলে হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
তাৎক্ষনিক পংকজকে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ফয়সাল ফাহাদ চৌধুরী মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে অবস্থানরত পংকজের মা তারা রানী বৈদ্য অভিযোগ করেন, শ্বশুর পরিবারের সাথে পংকজের সু-সম্পর্ক ছিল না। তাই তার ছেলেকে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে পংকজের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় পংকজের ভাই পরিতোষ বৈদ্য বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করছেন।
তিনি আরো জানান, গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার হাসপাতালে গিয়ে পংকজের স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন