হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে সংগঠনটির আমির করার প্রস্তাব দিয়েছেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। এ ছাড়া জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াত-শিবির করেন না বলেও দাবি তার।
রবিবার বিকালে ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার উদ্ভূত সংকট নিরসনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।
তিনি আরো বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াতের বিরুদ্ধে বই লিখেছেন। তিনি ও তার মামা মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী জামায়াত বিদ্বেষী। সরকারের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের পাশ থেকে দূরে সরানোর জন্যই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, নিবন্ধন বাতিল করেছি। আমি জানি কে জামায়াতের, কে নয়।
নানা নাটকীয়তার পর রবিবার নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে শনিবার মাদ্রাসায় ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার রাতে ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম নজিবুল বশর উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি রবিবার সংবাদ সম্মেলন থেকে ওই মাদ্রাসার শূরার বৈঠক বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি আরো বলেন, জুনায়েদ বাবু নগরীর নির্দেশনায় আমি এ মাদ্রাসায় এসেছি। তাছাড়া আমি ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য। এখানে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারবে না।
মাদ্রাসার পরিচালক বা মুহতামিমের পদ নিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সলিমউল্লাহ প্রয়াত আহমদ শফির অনুসারী। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারী।
সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, মাওলানা হাবিবুর রহমান হাসেমী উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন