চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মনসা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকায় পাওয়া লাশটি কিশোরগঞ্জের নবী হোসেনের। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভেরবের আগানগর ইউনিয়নের পুরানচর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। কিশোরগঞ্জ থেকে অপহরনের পর চলন্ত গাড়িতে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে নবীর লাশ পটিয়ায় সড়কের পাশে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।
হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত থাকার অপরাধে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (চট্টগ্রাম জেলা পিআইপি) দুই যুবককে গতকাল রাতে টানা অভিযানে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও একটি মাইক্রোবাস জন্দ করেছে পিবিআই।
গত ১৭ অক্টোবর মনসা এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পটিয়া থানা পুলিশ। পরে মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই। গ্রেপ্তার দুই যুবক হলেন নরসিংদী বেলাবো থানার বারিচা দেয়ানচর গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিন ছেলে আশিক মিয়া (২৩) ও কিশোরগঞ্জ ভৈরব থানার তুলাকান্দি গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২০)। আশিক কিশোগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে আওয়াল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় থাকতো।
পিবিআই চট্ট্গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, মায়ের সাথে দুর সম্পর্কের চাচা নবী হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক পরবর্তীতে পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি মানতে পারেনি ২১ বছরের তরুণ সাব্বির। তাই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নবীকে ভারাটে হত্যা করেন। সাব্বির নবী সবাই এলাকার। গ্রেপ্তার দুই যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সাব্বির বাবা প্রবাসে থাকেন। এ সুযোগে নবী হোসেনের সাথে তার মায়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।
বিষয়টি মানতে পারেনি ছেলে সাব্বির। নবীকে খুন করতে গ্রেপ্তার দুই যুবকের গ্রুপ লিডার তুষারের সাথে ৬০ হাজার টাকায় চুক্তি করে সাব্বির। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি মাইক্রোবাস নিয়ে নবীকে অপহরণের চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। পরদিন মাইক্রোবাস বদলে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে কৌশলে নবীকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।
তারা প্রাইভেটকারে নবীকে তুলে কিশোরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দেয়। পথে কুমিল্লা এলাকায় চলন্তকারে নবীকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে গলা টিপে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের রগ কেটে মৃতদেহটি গাড়ির পা রাখার স্থানে রাখে। তারা নবীর মৃতদেহটি চট্টগ্রাম-কক্্রবাজার সড়কের মনসা আইডিয়েল স্কুল এন্ড কলেজের পূর্ব পাশে ব্রিজের কাছে ফেলে দেয়।
পরদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা মৃতদেহটি দেখলে পটিয়া থানায় খবর দেয়। পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল জানান, মৃতদেহ ফেলে দিয়ে দুই যুবক প্রাইভেট কার নিয়ে কক্সবাজারের দিকে চলে যায় । কক্সবাজার থেকে ফেরার পর কথা অনুযায়ী সাব্বির তাদেরকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। ঘটনায় সাব্বির ও তুষার নামে আরো দুই যুবক জড়িত।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন