বিলুপ্তির পথে বাংলাদেশের মিঠা পানির ডলফিন। গত আড়াই বছরে হালদা নদীতেই ২৮টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। ইঞ্জিন চালিত বোটের আঘাত এবং মূল্যবান চর্বির লোভে হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গবেষকদের।
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে বিচরণ গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের। স্থানীয়ভাবে যা ‘শুশুক’ নামে পরিচিত। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার এই ডলফিনকে অতি বিপন্ন প্রজাতির লাল তালিকায় রেখেছে। বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে অতি বিপন্ন প্রজাতির এই ডলফিন আছে ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে হালদাতে আছে ১৬৬টি।
কিন্তু ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত ২৮টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ ১৩ অক্টোবর ৩০ কেজি ওজনের একটি ডলফিনের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
হালদা নদী রক্ষা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, এই ডলফিনগুলো রক্ষা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ইঞ্জিন চালিত বোটের আঘাত, জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকা পড়ার পর জেলেরা ও মূল্যবান চর্বির লোভে দুর্বৃত্তরা ডলফিন হত্যা করছে বলে জানান হালদা গবেষক।
হালদা নদী গবেষক প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, অন্যান্য মাছের টোপ হিসেবে বড়শিতে ব্যবহারের জন্য ডলফিনের তেল ব্যবহার করে। এজন্য কিছু ডলফিনের চামড়া কেটে তেল নিয়ে নেয়।
সাধারণ মানুষকে সচেতন ও দূষণ কমানো গেলে বিপন্ন প্রজাতির এই ডলফিনকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন বন বিভাগের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেত্তয়াজ বলেন, যারা দেখাশোনা করছি, সবাই মিলে বোঝালে এই ডলফিনকে বাঁচানো যাবে।
দেশের ১২ প্রজাতির ডলফিনের মধ্যে শুধুমাত্র স্বাদু পানির ডলফিন রয়েছে দুই প্রজাতির। গাঙ্গেয় ও ইরাবতী ডলফিন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন