পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। খোরাকিভাতার দাবি মেনে নেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা দেন।
এর আগে সোমবার খোরাকি ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটে সারা দেশের নৌপথে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সমুদ্রবন্দরগুলোতে খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাটে ঘাটে পণ্য নিয়ে অলস বসে রয়েছে লাইটার জাহাজ।
পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘নৌ শ্রমিকরা যে দাবি করেছেন, তাদের মূল দাবি হচ্ছে খোরাকি ভাতা। এটা অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গত এক বছরে তারা দুবার এই ধরনের ধর্মঘটে গেছেন। আমরা আলোচনা করে এটার একটা সমাধান করেছি।
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাত থেকে পণ্য ও তেলবাহী নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার এ ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিগুলো ছিল-
১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ করা
২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান
৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান
৪. সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ
৫. এনডোর্স, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ
৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ
৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান
৮. নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন
৯. মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা
১০. নৌপরিবহন অধিদফতরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং
১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন