সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনকে একা না ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনকে ন্যায্য সব বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শারদ সম্মাননা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক। আমরা বলি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এরই আলোকে সব সময় পূজা উদযাপন হয়ে থাকে। এবারও তাই হবে। পূজায় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী দুই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো আর্থিক প্রণোদনা আরেকটি ৩১ দফা নির্দেশনা। যা মেনে চললে করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পূজাতেও এসবের প্রয়োগ থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে উপজেলার ১৯টি পূজা মন্ডপের প্রতিটিতে পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
আখাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক দীপক কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূইয়া, লোকনাথ সেবাশ্রম শান্তিবন মহা শ্বশ্মান কমিটির সভাপতি হীরালাল সাহা, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ। সম্প্রতি মন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় একটি শ্মশান উদ্ধার হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এ সময় মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ২০১৯ সনের দুর্গাপূজায় সেরা প্রতিমা ক্যাটাগরিতে পৌরসভা পর্যায়ে শ্রী শ্রী রাধাবাধব আখড়া, ইউনিয়ন পরিষদ কৌড়াতলী ঋষিপাড়া মন্দির, আলোকসজ্জা ও শৃংখলায় পৌরসভা পর্যায়ে দুর্গাপুর পূজা মন্দির, ইউনিয়ন পর্যায়ে মোগড়া দশভূজা কালী মন্দির, ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে পৌরসভা পর্যায়ে হরিজন কলোনি পূজা মন্ডপ, ইউনিয়ন পর্যায়ে ধরখার কালী মন্দিরকে সম্মাননা দেওয়া হয়। চলতি বছর স্বাস্থ্যবিধিসহ সার্বিক নির্দেশনা মেনে পূজা আয়োজনকারীদেরকে পুরস্কৃত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন