আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
ঢাকা-৫ আসনের ভোটার না হয়েও এই আসনের উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি এই আসনে ভোটারই ছিলেন না।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদও ভোট দিতে পারেননি; কারণ তিনিও ভোটার ছিলেন না।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের প্রার্থীই ঢাকা-৪ আসনের ভোটার। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে কারও নির্দিষ্ট আসনে ভোটার হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টার দিকে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনু। নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে ভোট কক্ষে যান তিনি। তার সঙ্গে সাংবাদিকরা গেলে মনু নিজেই তাদের ভোট কক্ষে যেতে মানা করেন।
ভোট কক্ষে থেকে বেরিয়ে এসে আমুলিয়া মাদ্রাসার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মনিরুল। এর মধ্যেই তার ভোটগ্রহণ হয়নি বলে খবর চাউর হয়।
এ বিষয়ে মনু নিজের আঙ্গুলে ভোটের পর দেওয়া চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, এই যে দেখেন আমি ভোট দিয়েছি।
যাত্রাবাড়ীর ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নেছার উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, এ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোট দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। উনি তো এখানকার ভোটার না।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী এ আসনের ভোটার নন। সেক্ষেত্রে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। উনারা ভোট দেননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহতাবউদ্দিন বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখেছি-দুই প্রার্থীই এ আসনের ভোটার নন, অন্য এলাকার ভোটার তারা। প্রার্থী হতে তো বাধা নেই, তাদের কেন্দ্র পরিদর্শনেও বাধা নেই। কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছিলেন তারা।
মনুর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে কে কী বলেছেন, তা আমার জানা নেই।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন