রংপুরে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার পথে জোড়া খুনের মামলার আসামি এজাহারুলের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের মৃত নুর আলীর ছেলে। মৃত এজাহারুলের শ্বশুর মোবারক আলী জানান, তার জামাই আগে থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ড অপারেশন করা ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের জুন মাসে বাঁশ কাটা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এজাহারুল তার আপন দুই ভাই হাকিনুর ও ভুট্রুকে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় এজাহারুলের আরেক ভাই জানারুল ইসলাম বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০৬/২০০৩)। রায়ের অপেক্ষায় থাকা এ মামলায় গত ২০ সেপ্টেম্বর এজাহারুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্য সুশান্ত কুমার সরকার জানান, মঙ্গলবার রাতে এজাহারুলকে গ্রেপ্তারে নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমে তাকে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক এজাহাররুলকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, এজাহারুল হৃদরোগসহ নানান রোগে ভুগছিলেন। আদালতের আদেশে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন