দীর্ঘ ২০ বছর নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার বেশ কিছু নেতা-কর্মী। দ্রুত নির্বাচন চেয়ে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝিকরগাছা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একেএম আমানুল কাদির টুলুসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আমানুল কাদির টুলু বলেন, ‘২০০২ সালের ২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ১৩ মে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণের পর থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেটাই প্রথম ও শেষ নির্বাচন। নির্বাচিত মেয়র কৌশল অবলম্বন করে তার নিজস্ব লোক দিয়ে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করে হাইকোর্টে সঠিক সীমানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট করেন। বর্তমানে মেয়র অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর করা থেকে বিরত রেখে চলেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, মেয়রের নিজস্ব তিন জন রিট পিটিশনারের দুই জন মো. সাইফুজ্জামান (৬০) ও শাহিনুর রহমান (৫৫) মামলা এফিডেভিটের মাধ্যমে না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। অপরজন মো. শাহাদৎ হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন অবস্থায় বাদী বিহীন রিট পিটিশন কেন চলবে?
এই সময় জেলা প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলা হয়, পাঁচ বছরের জন্য মেয়র-কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে কীভাবে ২০ বছর ক্ষমতায় থাকে? পাশাপাশি সীমানা জটিলতায় ভোট বন্ধ থাকলে, প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। একইসঙ্গে মেয়রের সম্পদের ব্যাপারে দুদকের তদন্ত দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, ঝিকরগাছা থানা তরুণ লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম শিপলু, পৌর সভাপতি শামীম হাসান প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন