মিশর মানুষের জীবনমানের অবনতি ও দেশটিতে অধিক পরিমাণে দুর্নীতির প্রতিবাদে সম্প্রতি কয়েকদিন যাবৎ অবরোধ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশটির মুক্তিকামি সাধারণ জনতা। মুক্তিকামি জনগন সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
সাম্প্রতিক কয়েকদিন যাবৎ মিশোরের বিক্ষোভ হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল আকারে ধারন করেছে। বিক্ষোভগুলোতে দেখা গেছে হাজারো নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করছেন। খবর আল জাজিরা।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় সাবেক সামরিক কন্ট্রাক্টর মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের সংখ্যা বাড়ছে। হোক খ্রিস্টান বা মুসলিম, কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ বা উদারপন্থী আমাদের পরিচয় হলো আমারা মিশরের মানুষ। আর এখনই সুযোগ আমাদের দেশকে মুক্ত করার।’
প্রবাসে বসবাসকারী আলীর আহবানের পর বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রধানত গিজা এবং বেনি শহরে ব্যাপক বিক্ষপ প্রদর্শন করেছেন দেশটির সাধারণ জনগন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে যে বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড ধারণ করে রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জনতা ছত্রভঙ্গ করতে সাধারণ জনগনের উপও সরাসরি গুলি চালানো বেশ কয়েকটি ভিডিও অনলাইন পোস্টও করা হয়েছিল। তবে আল জাজিরা ভিডিওগুলো যাচাই করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গেল বছর একই রকম বিক্ষোভ হয়েছিল মিসরে। তার প্রথম বছর পূর্তিতে গতকাল রবিবার সরকার বিরোধী বিক্ষোভ আহবান করেন সেনাবাহিনীর সাবেক কন্ট্রাক্টর মোহামেদ আলী। তার এ আহবানের ফলে মিসরে নেয়া হয় উচ্চ সতর্কতা।
গত বছর এমন বিক্ষোভে মিসরের বিভিন্ন শহরে অংশনেন হাজার হাজার মানুষ। তাতে প্রকাশিত হয় কি পরিমাণ ভিন্ন মতের অবস্থান এখনও মিসরে। ওই বিক্ষোভ থেকেও আল সিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল। জবাবে কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে বড় দমনপীড়ন শুরু করে বলে দাবি করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের দাবি, এতে কমপক্ষে ২৩০০ মানুষকে আটক করা হয়।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন