নৌকায় শুকনো খাবারের প্যাকেট নিয়ে বন্যায় পানিবন্দি পরিবারগুলোর দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেস্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিস্তার বামতীর মহিষখোচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানিবন্দিদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেন তিনি।
জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহের টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢেউয়ে তিস্তার নদীর পানি বাড়ে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দু’দিন ধরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা নদীর বামতীর লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পাঁচ দফার এই বন্যায় জেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবারের সংকট দেখা দেয়। খবর পেয়ে পানিবন্দি এসব পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার নিয়ে ছুটে যান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। নৌকায় করে খাবারের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে বিতরণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন, বালাপাড়া, বারঘড়িয়া, চৌরাহা, কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, রজবপাড়া প্রভুতি গ্রামে প্রায় তিন শাতাধিক পরিবারের মধ্যে নিজ হাতে এসব শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। প্রতি খাবারের প্যাকেটে ছিল ১০ কেজি চাল, এককেজি ডাল, এক লিটার তেল, ৫শ গ্রাম নুডুলস, এককেজি লবণ, এককেজি চিনি ও দুইকেজি চিড়া।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, জেলা ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম ও মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন