প্রধানমন্ত্রীর ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে নিজের বাড়ি থেকে ঠিক করতে হয়। আগে নিজের বাড়ি ঠিক করুন।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে নিজের বাড়ি থেকে ঠিক করতে হয়। শুরু করতে হবে আপনার বাড়ি থেকে। আপনার পরিবারের রেহানা (প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা) থেকে শুরু করে তাপস (ঢাকা দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র) কার কী সম্পত্তি আছে সে তথ্য প্রকাশ করুন।
তারপর আমাদের সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ করেন। তারপর প্রশ্ন করেন, জাফরুল্লাহ’র এই সম্পত্তি কোথায় থেকে অর্জিত হলো। কেবল অন্যেরটা দেখবো, আমারটা দেখবো না- এটা হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার-নিপীড়ন- হয়রানি; ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সারা দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা ও সমসাময়িক বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজের নানা স্তরে দুর্নীতির উদাহরণ টেনে এনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে দুর্নীতি কোথায় পৌঁছেছে, সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ হচ্ছে সরকার স্বয়ং। এখানে মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হরণ করে, এখানে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তার চেয়ে বড় দুর্নীতি কী হতে পারে? মালেকের দুই তলা, সাত তলা দুটি বাড়ি, আফজালের ১০টি বাড়ি, বা ১০ কোটি থেকে অনেক বেশি দুর্নীতি আমি মনে করি সরকার করছে। সরকার তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে।’
‘সরকারের অন্যায় আচরণ দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আজকে সরকারকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই, এখনও সময় আছে, সংশোধন প্রয়োজন’- যোগ করেন তিনি।
ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমি খুব বেশি মর্মবেদনায় আছি। আজকে ভিপি নূর … সে যদি অন্যায় করে থাকে, সেটার বিচার হবে। তাই বলে তাকে হয়রানি করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি একটা প্রসেশন করে, তাদের বের হতে দেবেন না, সেটা তো হয় না। আপনারা জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না। সেজন্য দেশটা নৈরাজ্যের দিকে চলছে।’
পুলিশি ধরপাকড়ের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যখন দেশে অনাচার বেড়ে যায়, ব্যথায় মানুষ নীল হয়ে যায়, তখনই ছাত্রসমাজ জাগে, ছাত্রসমাজ সচেতন করে। যখন চূড়ান্ত রকম অব্যবস্থাপনা তখনই ছাত্রসমাজ রাস্তায় নামে। সেদিনও যারা রাস্তায় নেমেছে, তারা কি গাড়ি ভেঙেছে? কাউকে মেরেছে? পুলিশ লাঠি দিয়ে .. সোটা দিয়ে… পরে উল্টা তাদের নামে মামলা দিয়েছে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন