তরুণ ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে অবশেষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন হাটহাজারি মাদ্রাসার দীর্ঘদিন মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফি। টানা দুই দিনের ছাত্র বিক্ষোভের মুখে গত রাতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যবাহি কওমি মাদ্রাসাটিতে আল্লামা আহমদ শফি অধ্যায়ের অবসান ঘটল। আল্লামা আহমদ শফি অধ্যায়ের অবসানের পাশাপাশি তাঁর পুত্র আনাস মাদানীর স্বেচ্ছাচারিতা ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পরাজয় ঘটল। চট্রগ্রামের হাটহাজারিতে ফ্যাসিবাদের উচ্ছীষ্ঠভোগীদের পরাজিত করে বিজয়ী হলেন তরুন আলেমরা ।
ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে পরিচিত আল্লামা আহমদ শফির পুত্র আনাসের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও সরকার থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার গুঞ্জন ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে’র শাপলা ট্র্যাজেডির পর থেকেই। সরকারি প্রশাসনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতায় তাঁর স্বেচ্ছাচারিতায় অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষকগণ। দিনে দিনে চাপা ক্ষোভ বাড়তে থাকে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটে গত সোমবার দুপুর থেকে। আনাস মাদানীর পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে সোমবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভ। বিক্ষোভ ক্রমেই বিস্ফোরিত হতে থাকলে সোমববার সন্ধ্যার পর জরুরী বৈঠক ডাকেন মাদ্রাসাটির মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফি। আনাস মাদানীকে স্থায়ী বহিস্কারসহ ছাত্রদের দু’টি দাবি মেনে নেয়ার ঘোষনা আসে জরুরী শুরা বৈঠক থেকে। বাকী চার দাবীর বিষয়ে শনিবার শুরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়। বাকী চার দাবীর মধ্যে ছিল আনাস মাদানীর স্বেচ্ছারিতায় নিয়োগ দেয়া অযোগ্য শিক্ষকদের অপসারণ, মাদ্রাসা থেকে চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনর্বহাল ও আল্লামা আহমদ শফিকে মুহতামিমের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সম্মানজনক কোন অবস্থানে রাখা।
ছাত্রদের প্রথম দাবীসহ ২টি দাবী মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলে প্রথম দিন বিক্ষোভ সাময়িক স্থগিত করা হয়। এবং বাকী দাবী গুলো না মানা পর্যন্ত মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু পরের দিন সকালে (গতকাল) আল্লামা আহমদ শফি কতিপয় শিক্ষকদের ডেকে জরুরী বৈঠকে করে মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষনার চেষ্টা করেন। এছাড়া তিনি বলেন, আগের রাতের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তাঁর শরীরের অবস্থা ভাল ছিল না। আনাস মাদানীকে বহিস্কার করা হয়নি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আবারো বিক্ষোভে নামেন ছাত্ররা। তাৎক্ষনিকভাবে ছাত্রদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে। বিক্ষোভরত ছাত্রদের একটি অংশ আল্লামা আহমদ শফির কার্যালয় ঘেরাও করে। ছাত্ররা তখন ৬ দফা দাবী অবিলম্বে মেনে নেয়ার ঘোষণাসহ তাঁর পদত্যাগ দাবী করতে থাকেন।
সরকারি সিদ্ধান্তে মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ছাত্রদের টানা বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে বেসরকারি এ শিক্ষা এ মাদ্রাসাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা বিভাগের একজন সহকারি সচিবের স্বাক্ষরিত ঘোষনায় বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার শর্ত ভঙ্গ করায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হল। সরকারি এই নির্দেশনার মাধ্যমে দেশে একটি নতুন নজির সৃস্টি হয়। পুরো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষনায় অতীতে কখনো বন্ধ হতে দেখা যায়নি। হাটহাজারি মাদ্রাসাটি অতি প্রাচীন এবং দেশের বৃতহত্তম কওমী মাদ্রাসা। মাদ্রাসার ইতিহাসে শুধু নয়, কওমী অঙ্গনের কোন মাদ্রাসা এভাবে কখনো সরকার কতৃক বন্ধ ঘোষনা হয়নি।
মাদ্রাসা বন্ধের সরকারি এই ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার পরই ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করা হয়। মাদ্রাসার মজিদের মাইক থেকে বিক্ষোভরত ছাত্ররা ঘোষনা করেন সরকারের এ সিদ্ধান্ত তারা মানেন না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকার এভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে ছাত্ররা মাইকে ঘোষণা দিতে থাকেন। এতে ছাত্র বিক্ষোভ অরো উত্তাল রূপ নিতে থাকে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরার জরুরী বৈঠক:
উত্তাল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে আবারো জরুরী বৈঠকে বসেন মাদ্রাসাটির মজলিসে শুরা। মাদ্রাসা প্রধান আল্লামা আহমদ শফির সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী, মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা নোমান ফয়েজি, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরি, মুফতি নুর আহমদ, মাওলানা শোয়াইব, মাওলানা ওমর, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা আহমদ দিদার ও মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী।
দীর্ঘ বৈঠক শেষে বিক্ষোভরত ছাত্রদের জানানো হয় তাদের ৬ দফা দাবী মেনে নেয়া হয়েছে। মুহতামিমের পদ থেকে আল্লাম আহমদ শফি নিজেই সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মজলিসে শুরার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। আরো জানানো হয়, আহমদ শফি পুত্র আনাস মাদানীর অন্যতম সহযোগি মাওলানা নুরুল ইসলামকেও মাদ্রাসার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দিনভর প্রশাসনের প্রস্তুতিতে জনমনে আতঙ্ক
ছাত্র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব মোতায়েন করা হয় মাদ্রাসার চার পাশে । হাজার হাজার পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার চার পাশের রাস্তায় যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। জনমনে তৈরি হয় নানা আতঙ্ক। আবারো ২০১৩ সালের মে’ গণহত্যার পুনরাবৃত্তি হাটহাজারি মাদ্রাসায় ঘটে কিনা এনিয়ে তৈরি হয় নানা আশঙ্কা। বিশেষ করে সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা আসার পর পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। মাঝে মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ-র্যাব মাদ্রাসার অভ্যন্তরে অ্যাকশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একটি সূত্র আমার দেশ ডেস্ককে জানয় যে, নিম্নে উল্লেখিত পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা মাদ্রাসার বাইরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, চট্রগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মশিউর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, হাটহাজারি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ আলম।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, মজলিসে সুরার বৈঠকের পর মাদ্রাসার মসজিদের মাইকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলনরত ছাত্ররা ঘোষণা করেন, ‘আমাদের সব দাবী মানা হয়েছে। পরিস্থিতি সুরাহা হয়ে গেছে। ছাত্ররা প্রত্যেকেই লেখাপড়ায় ফিরে গেছেন। আপনারা এখনে থাকার দরকার নেই। আপনারা চলে যান।’ কিন্তু আইন গভীর রাত পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান থাকায় ভেতরে ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
ছাত্রদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা
পুলিশ-র্যাবের উপস্থিতি ও প্রস্তুতিতে আতঙ্কিত না হয়ে আন্দোলনরত ছাত্ররাও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নেয়। মাদ্রাসার প্রধান গেইটসহ সকল প্রবেশ পথ ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষাক ছাড়া বাইরের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি আন্দোলনরত ছাত্ররা। সোমবার দুপুরের পর থেকেই মাদ্রাসা গেইটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। এমনকি স্থানীয় কেউ যাতে মাদ্রাসার মসজিদে আপাতত নামাজ পড়তে না আসেন সে জন্য অনুরোধ জানানো হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। নামাজের মুসল্লি সেজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢুকে সাবোটাজ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই বাইরের লোকদের আপাতত মসজিদে আসা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ফলেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রাথমিক সফলতা আসে গত রাতে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসার নিয়স্ত্রন ছাত্রদের হাতেই রয়েছে।
..................................................................................
হাটহাজারিতে তরুনদের পাশে দেশের শীর্ষ আলেমরা...............................................................
দেশের প্রাচীনতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখগণ উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাটহাজারী মাদরাসায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য মাদরাসার শূরা কমিটিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং শূরার মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে।
উলামা-মাশায়েখগণ বলেন, এক্ষেত্রে সরকার বা প্রশাসনের কোন ধরনের হস্তক্ষেপ দেশবাসী মেনে নিবে না।
উলামা-মাশায়েখগণ আরো বলেন- অত্যন্ত দু:খজনক বিষয় যে, দেশের শীর্ষ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং আল-হাইয়্যাতুল উলইয়ার আসন্ন কেন্দ্রীয় পরীক্ষার অন্যতম মারকাজ হাটহাজারী মাদরাসাকে একটি অগ্রহণযোগ্য খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে সরকার কর্তৃক বন্ধ ঘোষণা দেওয়া মাদরাসার অভ্যন্তরে অনিয়মকে মদদ দেওয়ার নামান্তর। সরকার প্রদত্ত স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত দারুল উলূম দেওবন্দের অষ্ট মূলনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আমরা অনতিবিলম্বে সরকারকে এই ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
উলামা-মাশায়েখগণ আরো বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, একটি কওমী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অনিয়মকে জিইয়ে রাখতে সরকারের এ ঘৃণ্য পদক্ষেপ সারা দেশের কওমী অঙ্গনকে উত্তপ্ত ও ক্ষুব্ধ করে তুলবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, দেশের শীর্ষ আলেম মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী (দেওনার পীর), মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা আব্দুল আউয়াল (নারায়ণগঞ্জ), মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা হেলাল উদ্দিন (ফরিদপুর), মুফতী কামরুজ্জামান (ফরিদপুর), মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা নাজমুল হাসান, মুফতী মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা শওকত হোসেন সরকার (নরসিংদী), মাওলানা মাসউদুল করীম (গাজীপুর), মাওলানা লেহাজ উদ্দিন (গাজীপুর), মাওলানা সাঈদ নূর (মানিকগঞ্জ), মাওলানা লোকমান মাজহারী,
মাওলানা হামিদ জহিরী, মুফতী আব্দুর রহিম (নরসিংদী), মাওলানা নূর মুহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ (সাভার), মাওলানা বশির আহমদ (মুন্সীগঞ্জ), মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা ইয়াকুব ওসমানী (বি-বাড়ীয়া), মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী (কুমিল্লা), মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন (খুলনা), মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমূদী (বরিশাল) প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন