ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া হিজলতলী এলাকায় এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকলে নিজের ভাড়া বাসা থেকে জেসমিন আক্তার (১৯) কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্বামী সুজন। পরে ঘরে থাকা অন্যান্য সদস্যের সহায়তায় স্ত্রীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে আনেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, কদমতলী চৌরাস্তায় মোবাইলের পুরাতন পার্স বিক্রেতা সুজনের সাথে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জিনজিরা ইউনিয়নের মনু ব্যাপারীর ঢাল এলাকায় বসবাসকারী মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে জেসমিন আক্তারের। বিয়ের সময় ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাকি থাকে। মেয়ের বাবা না থাকায় মা জায়েদা বেগম মেয়ের যৌতুকের টাকা দিতে পারছিলেন না বলে নিহতের স্বজনরা জানান। আর সে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় পাষণ্ড স্বামী জেসমিনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছে ছেলের মা জামিলা বেগম।
মৃত জেসমিনের শাশুড়ি জামিলা বেগম জানান, আমার ছেলে এবং ছেলের বউ গতরাতে খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালে তাদের উঠতে দেরি হলে আমি দরজাঘাত করি। ছেলে ঘুম থেকে উঠে বউকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। ছেলের চিৎকার শুনে আমরা ঘরের ভেতর ঢুকে বউকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আমরা কিছু না বুঝে বউয়ের লাশ নিচে নামিয়ে আনি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সুজন বালা জানান, লাশটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার শেষে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সুজনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন