যথাযথ স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে করোনায় মৃত্যু হার কমিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে পুরো পৃথিবী আক্রান্ত হয়েছিল। ইউরোপের প্রতিটি দেশে জনসংখ্যার হার কম হলেও সেখানে মৃত্যুর হার বেশি। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করেছি। এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। সুচিকিৎসা ও যথাযথ স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে মৃত্যুর হার কমিয়ে রাখতে পেরেছি। দেশ থেকে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমে যাচ্ছে, মৃত্যুর হারও কমে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাহস পাচ্ছি। আজকে জীবন-জীবিকা অনেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে। কারণ, করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। সংক্রমণের হারও কমে যাচ্ছে। সুস্থতার হার বেড়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক চাকা সচল হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যসেবার অবদান’।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে অগ্রাধিকার পায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কীভাবে দেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাবে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার আগে বাঙালিদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সবক্ষেত্রেই অধিকার ছিল না। পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানকে একটি দরিদ্র কলোনি হিসেবে ব্যবহার করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। নানা বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আওয়াজ তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন।’
আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন