পুলিশ সদর দপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার থানার ওসিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও ওসিদের অনিয়ম কমছেনা। কোনো কোনো থানার ওসির আচরন এতটাই ৗদ্বত্যপুর্ন যাতে খোদ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই বিব্রত। সম্প্রতি বেশকিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ওসিদের অনিয়ম দুর্নিতী ও নির্যাতনের ঘটনায় সাধারন মানুষ হতবাক হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের কমপ্লেইন সেলেও ওসিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযাগ জমা পড়ছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুল ইসলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেওয়া এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের হত্যার হুমকির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে আরো আছে অনেক অভিযোগ। দুদক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশ সদর দপ্তরের আইজিপি কমপ্লেইন সেলে হয়েছে লিখিত অভিযোগও। কিন্তু তিনি এখনো ওই থানাতেই কর্মরত আছেন।
তিনদিন আগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা দাবি। আদালত মামলা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পিবিআইকে।
থানার ওসি ছাড়াও, পুলিশের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধেও উঠছে এরকম নানা অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা যাতে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন, সেজন্য ২০১৭ সালে পুলিশ সদর দপ্তরে চালু হয় আইজিপি কমপ্লেইন সেল। যেখানে ফোন, ইমেইল বা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে।
পুলিশ সদস্যরা অপরাধে জড়িত হলে গুরু ও লঘু এই দুই ধরনের দণ্ড বা বিভাগীয় শাস্তি দেয়ার বিধান রয়েছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করা হয়। ছোট অনিয়ম বা অপরাধের জন্য দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার, অপারেশনাল ইউনিট থেকে পুলিশ লাইনস বা রেঞ্জে সংযুক্ত করার বিধান রয়েছে।
টেকনাফকান্ডে জড়িত ওসি প্রদীপ কুমার এবং এর আগে ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিলো আগে থেকেই। তাদের লাগাম আগেই টেনে ধরা গেলে হয়তো বড় ঘটনা এড়ানো যেতো বলে মনে করছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন