অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়েই এদেশের সমৃদ্ধির সোপান গড়ে তুলতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে সামাজিক সখ্য এবং ঐক্য, একতা ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির অপচেষ্টা এখনো চলছে। ইতোমধ্যেই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া হয়েছে। তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এদেশে যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা ও লালন করেছিলো এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছিলো তারাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী সদস্যদের জীবন ও সম্পদের ওপর বারবার আঘাত এনেছে।’
উন্নয়ন, মানবিকতা আর সম্প্রীতির শত্রু সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে যেমনই প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, তেমনই প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনও দেশই প্রতিবেশী দেশের সাথে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগুতে পারে না। প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক।’
দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় সমাধান দুদেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরও সুদৃঢ়। দুদেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন