কক্সবাজারে পুলিশ কর্তৃক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
তিনি বলেছেন, ‘বিচারবর্হিভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে। সিনহা হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সিনহা হত্যায় জড়িত কক্সবাজারের এসপি এবিএম মাসুদ হোসেনকে গ্রেফতার না করে বরং ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতকে রক্ষার অপচেষ্টা চলছে।’
অবিলম্বে হত্যার কারণ ও জড়িত গডফারদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃংখলা বাহিনীকে সরকার বিরোধীদল দমন, হত্যা, খুন-গুম-অপহরন ও ভোট ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত করায় তারা আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। যা একটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র মিশন আয়োজিত অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের আইনশৃংখলার চরম অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডা. ইরান বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে পুলিশ কর্তৃক বিচারবর্হিভূত হত্যা মেনে নেয়া যায় না। বিচারহীনতার কারণে দেশে অপরাধ জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কোনও বাহিনী বা প্রশাসনের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার ভারতীয় তাবেদারি ও লুটপাটে ব্যস্ত। তাই গণতন্ত্র ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এমাজউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদের সন্তানদের মতো ভালবাসতেন। তিনি একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি আলোকিত জীবন ও কর্মের মাধ্যমে হাজার বছর বেচেঁ থাকবেন। বর্তমান জাতির ক্রান্তিকালে এমাজউদ্দিন স্যারের শূন্যতা আমরা বারবার অনুভব করছি।’
বাংলাদেশ ছাত্র মিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ছাত্র মিশন সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, অর্থসম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পাঠাগার সম্পাদক মামুন আর রশিদ ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন