অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগে অভিনেতা ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা ছিলেন। এদিন এ অভিনেতার সঙ্গে অভিযুক্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও এসআই লিয়াকতের সঙ্গে কথা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
জানা যায়, হত্যাকাণ্ড বাহারছড়া সংলগ্ন মারিসঘোণা এলাকাতেই বসবাস করেন চলচ্চিত্রের ফাইটিং গ্রুপ পরিচালনাকারী ইলিয়াস কোবরা। সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানের।
অভিযোগ উঠেছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার অবস্থান, কতক্ষণ পর কোন রাস্তায় কোথায় যাবেন সেসব তথ্য জানিয়ে কোবরা ৯টি এসএমএস পাঠান ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে।
তবে খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা বলেন, আমি লেখাপড়া জানি না এসএমএস তো দূরে কথা। এ সব তথ্য গুজব ভিত্তিহীন। আমার সম্মানহানি করার জন্য এমন খবর রটানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
এসআই লিয়াকতের সঙ্গে তার কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লিয়াকতের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তার সঙ্গে সাবেক মেজরের মৃত্যুর দিনও কথা হয়েছে। আমাদের এখানে একটা বস্তা পাওয়া গিয়েছিল, তখন আমি টেলিফোনে জানানোর পর লিয়াকত সাহেব আসেন। তিনি এসে বস্তাটা নিয়ে যান, আমাদের সদস্যকে নিয়ে গেছেন। তখন আমি তাকে বললাম, যে দেখে জানিয়েছে তাকেই যদি নিয়ে যান, তাহলে খবর দেবে কে? এসময় তিনি বলেছিলেন, তাদের স্যার কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তখন তার সঙ্গে বার বার কথা হচ্ছিল, তিনি মানতে চাচ্ছিলেন না। পরে ছেলেটাকে নিয়ে চালানে দিয়ে দেয়। ৩-৪দিন পর জামিন পায়। এভাবেই তারা করে।
তিনি আরো বলেন, সিনহার সঙ্গে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি নেই, এখানেও নেই, ঢাকাতেও কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে সোহেল রানা পরিচালিত মারুক শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কোবরার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন। তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন