রোববার দুপুর আনুমানিক দেড়টা। কিছুক্ষণ আগেই সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে।
বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হলো, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে কিনা, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন ব্যর্থ হলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে? এ সম্পর্কে জানতে সভাকক্ষের বাইরে সচিবকে ঘিরে ধরলেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
গত চার মাসেরও বেশি সময় করোনা সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব (সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং) বিধি বজায় রাখার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় অব্যাহতভাবে লিখে চলেছেন।
তবে এদিন সচিব, বিএমএ নেতাসহ বেসরকারি হাসপাতালের মালিকদের বক্তব্যগ্রহণকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি তারা বেমালুম ভুলে যান।
গণমাধ্যমকর্মীরা গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সচিবের বক্তব্য গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য সচিব, চিকিৎসক নেতা ও হাসপাতাল মালিক কাউকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্ক করতে দেখা যায়নি।
এদিকে বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হবে না।
সচিব বলেন, যেকোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ামাত্র টাস্কফোর্স সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করবেন। এক্ষেত্রে জনগণের জন্য একটি টেলিফোন নাম্বার দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই টেলিফোনের মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে অনতিবিলম্বে রেসপন্স করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন