বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ বাড়াতে আরো মনোযোগী হচ্ছে ভারত। সে জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে আটটি রুট চিহ্নিত করেছে নয়াদিল্লি। এই রুটগুলো ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন করা হবে।
ইতোমধ্যে গত জুলাইয়ে কলকাতা থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে হয়ে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় যায়। যা এই রুটে পরীক্ষামূলক প্রথম পণ্য পরিবহন ছিল। এর মধ্য দিয়ে ভারত সরকার আশা করছে, পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ আরো উন্নত হবে।
নয়াদিল্লি বলছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে আটটি রুট চিহ্নিত করা হচ্ছে।
রুটগুলো হলো- চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা (ত্রিপুরা), চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি (মেঘালয়), চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি (আসাম) এবং চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে বিবির বাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা) এবং সবগুলোর বিপরীত রুট।
আকাশ, নৌ, রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে দুই দেশের মধ্যেই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করে ভারত সরকার। সে জন্য ২০১৯ সালেই দেশ দুটি পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপিএস) চূড়ান্ত করে। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে নৌ, রেল, সড়ক বা বহুমুখী পরিবহনে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভারতীয় এক কর্মকর্তা বলেন, এই কার্যক্রম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া ঢাকায় ভারতের মিত্র সরকার থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আরো নজর দেয়া প্রয়োজন। কারণ চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ বাড়াতে বেশি মনোযোগী হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন